Home Blog Page 41

Is Your Fridge Funding War Crimes? Kolkata Activists Ask The Hard Question

Kolkata: The Concerned Citizen of Kolkata, a group which has given the call to boycott Israeli-American products since the genocide by Israel and Zionists alliance began in Palestine post October 7, 2023, have now intensified their campaign against international cold drink brands and Kolkata restaurants that are promoting these brands with some exclusive meal offers.

The speakers, including human and social activists as well as teacher and lawyer had one demand – Boycott Israeli-American products.

The Moderator, Athar Firdausi, a member of the boycott team, began by saying, “Since November, we have been running one of the longest campaigns in India to boycott Zionist products in Kolkata. We have conducted rallies, walks, and door-to-door campaigns. The impact of the boycott movement has been great. And has compelled these brands to come up with offers to lure buyers.”

Till date more than 40,000 people have been massacred in Palestine. Especially in Gaza, where a genocide is ongoing. This began soon after the attack by Hamas in Israel. Children are in maximum numbers among the victims. Every day war crimes are being committed by Israeli forces. The United Nations has mentioned it on several occasions. Now after the Israeli and American airstrikes, attacks by tanks, and gunshots by IDF and settlers, people and children are facing famine-like situations and dying from starvation.

Firdausi added, “One such offer is Coke or Coca-Cola or Thumbs Up with Dalem (a popular dish eaten during Ramzan). As the boycott movement is going on throughout the world and Pepsi as well as Thumbs Up products are getting affected, they are coming with such offers.”

“Helping doing business or lending any kind of support to oppressors or killers is haram (forbidden) in Islam just like drinking alcohol, eating pork, and lending money on interest is forbidden. If such offers do not get discontinued by the restaurants, people should shun their relationships with such shops and owners,” Abdul Aziz, senior journalist and activist said.

Ashraf Ali Qashmi pointed out – if a shopkeeper harms your family then you wouldn’t patronize them. And if that shop is hurting millions of people by selling or passing off the product that should be boycotted as a freebie then should you not end your relationship with that shop, he further asked.

Lawyer and activist Noor Mahvish pointed out, “We are living a privileged life. If we wish, we watch some videos and if that gives you a heavy feeling, you skip that. But when it comes to boycotting products, they are not refusing it.”

“The women, when they give birth, face immense problems in general but in that situation, they are not getting medicines during deliveries in Palestine. Women are getting raped, children are being butchered, and men are murdered. Even after seeing all these, if we cannot do this minimum act of boycotting products, then we should think about what we are doing for the people of Palestine.”

Syed Irfan Sher, President All India Mutawalli Association and Rotary member said, “I believe it is not just a matter for a community, but for the entire humanity and every sane person is aghast and condemning the brutality by Israel in Palestine.”

Shahina Ashgar, another social activist and a mother said, “Every woman has a big role in this boycott – to stop her man and children from buying Israeli-American products. We have made sure to have no Israeli-American products in our house for so many years.”

She added that one can also return the boycott product that’s being offered for free, while taking the daleem or food that one has ordered. This strategy will shame the shopkeepers who are giving such offers.

Mohammed Shahnawaz, a teacher, showed the list of products which should be boycotted and which are the alternatives. He also appealed to his students to continue boycotting Israeli products.

“It is more important to boycott Israeli-American products than sharing videos and images of the ongoing genocide. If you want to stop the killings, boycott products,” stressed Ghulam Zahid, a social activist.

কোডারমা: ঝাড়খণ্ডের ‘অসামান্য’ বিধায়ক বিনোদ সিং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিজেপি মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীর সঙ্গে।

রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের কোডারমা লোকসভা আসন এবারের নির্বাচনে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কারণ এখানে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী এমন একজন যিনি বিধায়ক হিসাবে তাঁর অসামান্য কাজের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। অন্যদিকে আছেন রাজ্যের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

কোডারমা প্রার্থী বিনোদ সিং

বহু জল্পনার পর লিবারেশন কোডারমা আসনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হিসাবে বিনোদ সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছে। বগোদরের তিনবারের বিধায়ক বিনোদের মুখোমুখি বিজেপির অন্নপূর্ণা দেবী। অন্নপূর্ণা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী।

কোডারমা লোকসভার অন্তর্গত ছটি বিধানসভা এলাকা – বগোদর, গান্ডে, জামুয়া, ধানোয়ার গিরিডি জেলার মধ্যে পড়ে। বাকি দুটি – কোডারমা ও বরকাঠ্ঠা হল কোডারমা জেলায়। বরকাঠ্ঠা বিধানসভার কিছু অংশ আবার হাজারিবাগ জেলায়।

১৯৭৭ সাল থেকে কোডারমা লোকসভা আসনে নির্বাচন হচ্ছে। তেরোবারের নির্বাচনে বিজেপি ছবার এই আসন জিতেছে। যদি জনতা পার্টির প্রার্থী ঋতলাল প্রসাদ বর্মা আর বিজেপিতে ফেরত যাওয়া বাবুলাল মারান্ডির একবার নির্দল হিসাবে জয়কেও এর সঙ্গে যোগ করা হয়, তাহলে কোডারমায় বিজেপি বা তার সাথে যুক্ত প্রার্থীরা মোট নবার এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের লিবারেশন প্রার্থী বিনোদের বাবা মহেন্দ্র সিং রাজনৈতিক হত্যার শিকার। তার আগে তিনিও বিনোদের মতই তিনবার বগোদরের বিধায়ক হয়েছিলেন। বিনোদ লোকসভায় প্রার্থী হওয়ায় বগোদরের বিধায়ক হিসাবে তাঁর কাজ এবং কোডারমা লোকসভা এলাকায় বিজেপি কতটা উন্নয়ন করেছে তা আলোচিত হবে। স্বভাবতই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণার সঙ্গে বিনোদের কাজের তুলনা চলবে। অন্নপূর্ণা আগে লালুপ্রসাদের পার্টি রাষ্ট্রীয় জনতা দলে ছিলেন এবং সেই দল থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের তিনি আরজেডি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

বিনোদের বয়স ৪৮। তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং বাবা মহেন্দ্র খুন হওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০২২ সালে তাঁকে ‘আউটস্ট্যান্ডিং এমএলএ অফ ঝাড়খণ্ড’ পুরস্কার দেওয়া হয়। এবছর যখন ইডির হাতে গ্রেফতার হবেন বুঝে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন পদত্যাগ করেন, তখন চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বে সরকার টিকিয়ে রাখার ব্যাপার লিবারেশনের এই বিধায়ক এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং একাধিকবার জোটের অন্য নেতাদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ইনিউজরুমকে বিনোদ বললেন “প্রথমত আমি ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত পার্টিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি কোডারমার মানুষকে বলতে চাই, উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সাথে সাথে সমাজের যে কোনো অংশের প্রতিনিধিত্ব করার কাজও লিবারেশন করেছে। সে প্রবাসী শ্রমিকদের কথা বলাই হোক অথবা দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু আর মহিলাদের ইস্যুগুলো তোলা। লিবারেশন রাস্তা থেকে বিধানসভা পর্যন্ত এঁদের সকলের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার কাজ করেছে। কোডারমা থেকে লোকসভায় আমাদের জেতালে সংসদে এই স্বর আরও জোরদার হবে।

“সবচেয়ে বড় কথা হল, এবারে কোডারমার লড়াই কোনো বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের নয়। এবারের লড়াই বিজেপির সঙ্গে কোডারমার মানুষের। বিজেপি ৩০ বছর ধরে কী কাজ করেছে তার জবাব দিতে হবে মানুষের কাছে। কোডারমা এখনো দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর মধ্যে পড়ে আছে কেন? না স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি হয়েছে, না শিক্ষার ক্ষেত্রে।”

তিনি আরও বলেন “অনেক বড় বড় নামের লোক এখান থেকে সাংসদ হয়েছেন। তাঁদের সকলের চেয়ে আমি নগণ্য লোক। কিন্তু আমি বলতে পারি যে আমি কখনো জনগণের ইস্যুগুলোর ব্যাপারে সমঝোতা করব না এবং কোডারমার মানুষের জন্যে কাজ করে যাব। আমি সংসদে কোডারমার মানুষের জোরদার কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠার চেষ্টা করব।”

 

এটি হিন্দিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অনুবাদ

হাসদেবের দুই লাখ গাছ বলি দিচ্ছে সরকার!

[dropcap]জ[/dropcap]ল, বন ও জমিতে আমাদের অধিকার আছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার জন্য এখানে গাছ কাটবেন না, এটা আপনার জন্যও মঙ্গলজনক নয়।” এই হাসদেব আদিবাসীদের কান্না, কিন্তু মনে হচ্ছে সরকার একটি বধির কান চালু।

ক্রমবর্ধমান নগরায়ন সত্ত্বেও, ভারতে এখনও বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল অবশিষ্ট রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল ছত্তিশগড়ের সুরগুজা জেলার জঙ্গল – হাসদেব। হাসদেওকে মধ্য ভারতের ফুসফুসও বলা হয় যা এর পরিবেশগত গুরুত্ব থেকে দেখা যায়।

হাসদেব নদীর তীরে এক লাখ ৭০ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চল। এই এলাকায় গোন্ড ও অন্যান্য বিভিন্ন উপজাতির প্রায় 10 হাজার উপজাতি বাস করে। ঔষধি গাছ এবং অন্যান্য বনজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে এই লোকদের জীবন-জীবিকা চলে, তবে গত কয়েক বছরে হাসদেও বন লাইমলাইটে এসেছে। কারণ কয়লা খনির জন্য বড় আকারে গাছ কাটা এবং এই ধ্বংস বন্ধের দাবিতে চলমান গণআন্দোলন।

এই আন্দোলন এখন সহিংস রূপ নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে, এটি সাম্প্রতিক সংঘাত নয়। আদিবাসীদের এই সংগ্রাম প্রায় এক দশকের পুরনো। এটি ২০১০ সালের দিকে শুরু হয় যখন সরকারী পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক বন কাটা শুরু হয়।

হাসদেও জঙ্গলে গাছ কাটার অনুমতি দিতে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল তৎকালীন রাজ্য সরকার। কেন্দ্রও এটি অনুমোদন করেছিল, কিন্তু তারপরে কিছু সমাজকর্মী এবং আদিবাসী মিলে ‘কেন্দ্রীয় বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রকের’ দরজায় কড়া নাড়ল। তাই গাছ কাটা বন্ধ করে পুরো হাসদেও বনাঞ্চলকে ‘নো গো জোন’ ঘোষণা করা হয়।

সরকার আসে এবং যায় এবং এই সময়ে প্রতিটি আগত সরকার বন উজাড়ের অনুমোদনের নামে বিরোধিতা করে। অন্যদিকে বিরোধীদের বিরোধিতা করার রেওয়াজও চলছে। কিন্তু সেসব বন কাটার কাজ থেমে নেই।

বর্তমানে এই বনের দুটি এলাকায় কয়লা খনির কাজ চলছে, ‘পার্সা ইস্ট’ এবং ‘কান্ত বসন’ এবং এই কাজটি আদানি গ্রুপ তত্ত্বাবধান করছে। বলা হচ্ছে এই খনি থেকে যে কয়লা বের হচ্ছে তা রাজস্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। আজ মানুষের বিদ্যুতের প্রয়োজন আর বিদ্যুতের প্রয়োজন হলে খনি থেকে কয়লা তোলা দরকার। কোনো কোনো নেতা বলছেন, তাদের কোনো বিকল্প নেই।

এ জন্য ১৫ হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ সংখ্যা বেড়ে দুই লাখে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই খননের ফলে বনের স্থানীয় আদিবাসীদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে। এছাড়া বন্য প্রাণীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়বে এবং তাদের সংখ্যা কমে যাবে।

এই বনে 82 প্রজাতির পাখি এবং প্রায় 170 ধরনের গাছপালা রয়েছে। প্রজাপতির কিছু প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। হাসদেব বন হাতি ও বাঘের জন্য বিখ্যাত। গাছ কাটার কারণে বনের পশু-পাখিও বিপাকে পড়েছে।

2021 সালে, বন বাঁচাতে 300 কিলোমিটার হাঁটা হয়েছিল। এরপরও সরকারের শূন্য আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন শেষ করা হয় এবং এরপরই আবার গাছ কাটা শুরু হয়।

হাসদেব জঙ্গল মহিলাদের
হাসদেবের মহিলারা চিপকো আন্দোলনের মতো গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন৷ সৌজন্যে: X/@savehasdev

এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, বনাঞ্চলে খনির জন্য খনির আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে জাল কাগজপত্রের ভিত্তিতে গাছ কাটা হচ্ছে।

বনের যে স্থানে গাছ কাটা হবে, সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে তাকে সেনানিবাসে পরিণত করা হয় এবং স্থানীয় আন্দোলনকারীরা যারা আন্দোলনের উদ্যোগ নিয়েছিল তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ চৌকিতে রাখা হয় যতক্ষণ না গাছ কেটে ফেলা হয়। কাটা উচিত নয়।

হাসদেব এর মহিলারা চিপকো আন্দোলনের মতো গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন৷ সৌজন্যে: X/@SHAsdeo

হাসদেবকে বাঁচাতে এই আন্দোলনে পিছিয়ে নেই মহিলারাও। এখানকার নারীরা তাদের বন বাঁচাতে ‘চিপকো’-এর আদলে আন্দোলন শুরু করেছিল, যা পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় সরকার দমন করে।

সাম্প্রতিক একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে একজন মহিলা তার বাড়ির চারপাশের গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

সরকার স্থানীয় প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের ঘোষণা দিলেও বনভূমিই স্থানীয় মানুষের পরিচয়। বিদ্যুতের প্রয়োজন হলে সরকার সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পও বাস্তবায়ন করতে পারে। তাই প্রশ্ন করা হচ্ছে বন উজাড় করে স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিপন্ন করার প্রয়োজন কী?

বন উজাড়ের আগে সেখানকার আদিবাসীদের 60 থেকে 70 শতাংশ জীবিকা বনের উপর নির্ভর করত। এই বনাঞ্চলে তেমন শিক্ষার সুযোগ নেই। এই কারণেই স্থানীয়দের মধ্যে শিক্ষার স্তর নিম্ন, তাই সরকার কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেয়, সেখানে এই অশিক্ষিত শ্রেণি সুযোগ পায় না। এর মানে হল, সরকারি পদক্ষেপের কারণে তারা এখন পর্যন্ত যেখানে মালিক হিসেবে বসবাস করছিলেন, সেখানেই থাকতে হবে। ফলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।

প্রশ্নটি কেবল একজন শিল্পপতি, একটি দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, প্রশ্নটি ক্ষমতার প্রকৃতি নিয়ে, যখনই ক্ষমতা আসে তখনই এটি নিজের কাজ করে।

“আমাদের বন আমাদের গর্ব, আমাদের সংস্কৃতি। আমরা একে অপরকে চিনি। এটাই আমাদের বেঁচে থাকার উপায়।” প্রশ্ন হল আদিবাসীদের কথা কে শুনবে?

 

এটি হিন্দিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অনুবাদ

Electoral Bond Scheme: A Tale of Unique Scam

[dropcap]I[/dropcap]n 2017, the BJP government implemented the scheme of electoral bonds through the Finance Bill, bypassing the Rajya Sabha, despite the opposition of all the opposition parties and the prohibition of the Election Commission and the Reserve Bank, which was an unprecedented effort to legalize corruption. The fear of ‘quid pro quo’ (corrupt transactions), which the Supreme Court had pointed out in February while declaring this scheme illegal, proved to be 100 percent correct after all the figures came out.

With these figures coming out, it also became clear why the State Bank of India was taking so much care in making it public. First, he sought time till June 30, violating the date set by the Supreme Court for handing over the data to the Election Commission. That is, every effort was made to make the information public only after the elections were over and a new government was formed. When the court reprimanded and said that the data would have to be given by 5 pm on March 14, otherwise, a case of contempt of court would be made, then by handing over the data to the Election Commission on March 14, it was ensured that which group gave electoral bonds to whom. This should not be known. The method was not to disclose the alphanumeric codes printed on the bonds purchased and redeemed. That is, you could not find out from that list that out of the bonds worth crores of rupees purchased by company ‘A’, how many went to party ‘A’, how many to ‘B’, ‘C’ etc.

Despite this, it was already clear from the list of those who bought the bonds that many of them included shell companies, that is, companies whose existence is only on paper and which are created only to move money around. Secondly, it also became clear that many of these companies bought bonds worth several times their total income (the earlier upper limit on donations, seven and a half percent of total profits, has been removed by the electoral bond scheme). Had given). It is not difficult to understand why a company does this. Either it is a fake company and has been created only to divert someone else’s money, or else that company is keeping in mind the reality of profit i.e. not the present but the possibility of profit i.e. the future and electoral bonds are its investment.

From this first and second point, it was clear that this was a means of legalizing corruption. The third thing that also became clear at the same time was that among the companies that invested a lot of money in electoral bonds, there were many such companies on which Income Tax or ED action was going on, and needless to say, these were departments are working under the central government. Yes, based on the data made public, it was difficult to claim whether the electoral bonds of such companies went to the BJP in power at the Center or not.
Not being able to prove this from the data made public was the reason why SBI did not disclose the alphanumeric codes and told the Supreme Court that it was not within its capacity to do all the calculations so quickly. The Supreme Court knew that in this computerized era, this was a pure excuse, so it gave time till 5 pm on March 21 that you will have to give all the information you have, you cannot withhold any of it. All information means all information.

The amazing thing is that SBI, which could not provide anything before June 30, provided all that on March 21, i.e. 100 days before the expected date as per its capacity. Shouldn’t SBI be asked that if it could have given, then why was it insisting on giving? Who was that person who twisted your arms and you obeyed only when someone else twisted you more? Who was telling you to beware that you allowed our reality to be revealed?

The same person who was twisting the arms of SBI was also sending his petition to FICCI and ASSOCHAM to the court that Your Honor, this secret of which company gave it to whom should not be revealed, because it is not in the interest of the business houses.

However, all means were adopted to soften the tough stance of the Supreme Court, which was perhaps unexpected for this ‘Who’. But the stance remained strict and eventually the figures came out. And when they arrived, the speculations turned into reality. The reality is that the BJP is not only the biggest beneficiary in this opaque system of electoral bonds (it was already known that since April 2019, about 50 percent of the amount has gone to its account alone, earlier more had gone), but He is also the most corrupt beneficiary, who has taken the help of central agencies and made such recovery from business houses, which would not have been possible without this opaque system. By taking these anonymous donations from the business houses which were raided for cases like money laundering and tax evasion, the action against them was stopped. It is alleged that central agencies were used as agents of extortion.

“In March 2022, Parliament was informed that raids and searches on ‘suspects’ had increased 27 times under the Modi government. 3010 such actions were taken by ED, but chargesheet was filed in only 888 of them and only 23 accused were found guilty by the court. The gap between these three phases can be better understood in the light of electoral bond data. “This government has proved to be the most corrupt government – ​​a stark contrast to Narendra Modi’s claim of ‘neither will I eat nor will I allow’.” (Vrinda Karat, ‘Who Pays Who Wins’, Indian Express, 23 March 2024).

Data analysts have found many such cases. For example, in September 2018, the Haryana Police filed a case against Robert Vadra and the DLF Group for corruption and fraud in a land deal in Gurugram. In January 2019, CBI searched the offices of DLF in another case. Between October 2019 and November 2022, three DLF Group companies purchased electoral bonds worth a total of Rs 170 crore and the sole beneficiary was the BJP, DLF Group did not make any donation to any other political party. Surprisingly, in April 2023, the BJP government of Haryana told the court that it had not found any irregularity in the land deal between Vadra and DLF. The case was dismissed.

An interesting example is that of Aurobindo Pharma. This Hyderabad-based company is an accused in the Delhi Excise Policy case. In November 2022, its director P Sarathachandra Reddy was arrested by the ED, five days after which the company gave electoral bonds worth Rs 5 crore to the BJP. When Mr. Reddy’s case came before the High Court, the ED did not oppose his bail and he got bail in May 2023 on the grounds of ill health. In June 2023, Sharat Reddy became a government witness in this case and two months later, the company donated another Rs 25 crore to the BJP.

Remember that Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal has also been arrested in the Delhi Excise Policy case. It is said that there is no other evidence of money transactions against those who are involved in this case – except the witnesses. While hearing the bail of Manish Sisodia in this case, the court had told the ED that this case was very weak and would blow away in a jiffy; There is no evidence as to through which hands the alleged bribe amount passed. Despite saying this, he did not grant bail, this is a different matter. Looking at this matter, the first curiosity that arises is that if Aurobindo Pharma gave Rs 100 crore to the Aam Aadmi Party, then why was this work not done through electoral bonds? After the introduction of this scheme, why would the money be sent to any political party through any other route instead of such a safe route? However, Arvind Kejriwal is still in custody and general elections have been announced in the country. Connecting the loose ends of everything, a very scary picture appears to emerge, which this article should not go in the direction of right now, because that would be a digression. But at least it is within the scope of the topic that if Aam Aadmi Party leaders can be caught on charges of favouritism by taking money, then why not BJP leaders, when it has been proved that they have To get the same money laundering accused released from custody, he first took Rs 5 crore and then Rs 25 crore and also convinced him to become a government witness.

On March 25, The Indian Express published details of 26 companies purchasing electoral bonds that came under the scanner of central agencies. Of these, 16 companies purchased bonds after coming under the scanner of agencies and the other 6 companies increased the purchase of electoral bonds after coming under the scanner of agencies. If you read the analysis of Express, you will know that it is not only the BJP that has redeemed the bonds of these companies. The parties in the state governments have also benefited from these. But BJP has got its largest share, 37.34 percent. This means that the largest portion was spent on avoiding the wrath of the central investigating agencies and the rest on getting the state governments to do their jobs.

All these facts scream one thing: the electoral bond scheme is the biggest scam this country has ever seen and the government that introduced it is the most corrupt government of independent India. The communists of this country not only understood this from the very beginning but also refused to take electoral bonds (they do not take donations from corporate houses anyway) to maintain the moral authority to fight it. That is why CPI (M) was able to become a petitioner in the Supreme Court against this scheme. The irony of other political parties is that they continued to oppose it and could not resist the temptation of taking whatever crumbs came to their plate. But this alone does not make everyone one-size-fits-all. After the disclosure of the complete data, the BJP should get the title of the most corrupt party. Unfortunately, the mainstream media is still looking for other parties to hand over this title.

Are you able to see the exposed face of the BJP anywhere except in newspapers and news portals?

This is the opinion of the author.

हसदेव में सरकार ले रही दो लाख पेड़ों की बलि!

[dropcap]ज[/dropcap]ल, जंगल, जमीन पर हमारा अधिकार है, बिजली पैदा करने के लिए कोयले के लिए यहां के पेड़ मत काटो, यह आपके लिए भी अच्छा नहीं है।” हसदेव के आदिवासियों की यही चीत्कार है, पर सरकार ने मानो कान पर हाथ रख लिया है!

बढ़ते शहरीकरण के बावजूद भारत में अभी भी विशाल वन क्षेत्र शेष है। इन्हीं में से एक है छत्तीसगढ़ के सरगुजा जिले का जंगल- हसदेव। हसदेव को मध्य भारत का फेफड़ा भी कहा जाता है जिसे इसके पारिस्थितिक महत्व से देखा जा सकता है।

यह वन क्षेत्र हसदेव नदी के तट पर एक लाख 70 हजार हेक्टेयर क्षेत्र में फैला हुआ है। इसके अंचल में गोंड और अन्य विभिन्न जनजातियों के लगभग 10 हजार आदिवासी रहते हैं। इन लोगों की आजीविका औषधीय पौधों और अन्य वन संसाधनों पर आधारित है, पर पिछले कुछ सालों में हसदेव का जंगल सुर्खियों में है। वजह है कोयला खदानों के लिए बड़े पैमाने पर पेड़ों की कटाई और इस विनाशलीला को रोकने की मांग को लेकर चल रहा जन आंदोलन।

यह आंदोलन अब उग्र रूप लेता दिख रहा है। मगर, यह कोई हालिया संघर्ष नहीं है। आदिवासियों का यह संघर्ष करीब एक दशक पुराना है। इसकी शुरुआत साल 2010 के आसपास तब हुई थी जब सरकारी स्तर पर बड़ी संख्या में जंगल काटना शुरू हुआ।

तत्कालीन राज्य सरकार ने हसदेव जंगल में पेड़ों की कटाई की अनुमति देने के लिए एक प्रस्ताव केंद्र को भेजा था। केंद्र ने इसे मंजूरी भी दे दी थी, पर फिर कुछ सामाजिक कार्यकर्ताओं और आदिवासियों ने मिलकर ‘केंद्रीय वन पर्यावरण एवं जलवायु मंत्रालय’ का दरवाजा खटखटाया। लिहाजा, तब पेड़ों की कटाई रोक दी गई थी और सम्पूर्ण हसदेव वन क्षेत्र को ‘नो गो जोन’ घोषित कर दिया गया था।

सरकारें आती हैं और जाती हैं और इस दौरान हर आने वाली सरकार का विरोध जंगल कटाई को मंजूरी देने के नाम पर होता है। दूसरी तरफ, विपक्ष के विरोध करने की परम्परा भी जारी रहती है। मगर, जंगल काटने वालों का काम नहीं रुकता।

फिलहाल इस जंगल के दो इलाकों ‘परसा ईस्ट’ और ‘कांटा बसन’ में कोयला खनन का काम चल रहा है और इस काम की देखरेख अडानी ग्रुप कर रहा है। कहा जा रहा है कि इस खदान से निकलने वाले कोयले का उपयोग राजस्थान में बिजली उत्पादन के लिए किया जाएगा। आज लोगों को बिजली की जरूरत है और अगर बिजली चाहिए तो खदान से कोयला निकालना जरूरी है। कुछ नेताओं का कहना है कि उनके पास कोई विकल्प नहीं है।

ऐसा कहा जाता है कि इस उद्देश्य के लिए 15,000 से अधिक पेड़ काटे गए हैं और अनुमान है कि भविष्य में यह संख्या बढ़कर दो लाख हो जाएगी।

इस उत्खनन से जंगल में स्थानीय आदिवासियों का जीवन अस्त-व्यस्त हो जाएगा। साथ ही जंगली जानवरों का जीवन भी खतरे में पड़ जाएगा और उनकी संख्या घट जाएगी।

इस जंगल में पक्षियों की 82 प्रजातियां और लगभग 170 प्रकार के पौधे हैं। इनमें तितलियों की कुछ प्रजातियाँ विलुप्त होने के कगार पर हैं। हसदेव का जंगल हाथियों और बाघों के लिए मशहूर है। पेड़ों की कटाई के कारण जंगल में पशु और पक्षियों की प्रजातियां भी खतरे में पड़ गई हैं।

साल 2021 में जंगल बचाने के लिए 300 किमी की पैदल यात्रा की गई थी। तब भी सरकार द्वारा कोरे आश्वासन देकर आंदोलन को खत्म करा दिया गया और उसके तुरंत बाद फिर से पेड़ों की कटाई शुरू हो गई थी।

हसदेव जंगल महिलाएं
चिपको आंदोलन की तरह पेड़ों को बचाने की कोशिश करती हसदेव में महिलाएं | साभार: एक्स/@savehasdev

इस आंदोलन से जुड़े लोगों का कहना है कि वन क्षेत्र में खनन के लिए खनन से पहले ग्राम पंचायत की अनुमति लेना जरूरी है। मगर, उनसे अनुमति लिए बिना फर्जी दस्तावेजों के आधार पर पेड़ों की कटाई की जा रही है।

जंगल में जिस स्थान पर पेड़ काटे जाने होते हैं, वहां भारी संख्या में पुलिस बल तैनात कर उसे एक छावनी का रूप दे दिया जाता है और आंदोलन में पहल करने वाले स्थानीय प्रदर्शनकारियों को गिरफ्तार करके पुलिस चौकी में तब तक रखा जाता है, जब तक कि पेड़ काट न लिए जाएं।

 

चिपको आंदोलन की तरह पेड़ों को बचाने की कोशिश करती हसदेव में महिलाएं | साभार: एक्स/@SHasdeo

हसदेव को बचाने के इस आंदोलन में महिलाएं भी पीछे नहीं हैं। यहां की महिलाओं ने अपना जंगल बचाने के लिए ‘चिपको’ की तर्ज पर आंदोलन चलाया था, जिसे सरकार ने पुलिस बल के जोर पर कुचल दिया।

हाल ही की एक घटना सामने आई है जहां एक महिला ने अपने घर के आसपास के पेड़ों को काटने का विरोध किया तो  पुलिस ने उसे घर से बाहर निकाल दिया।

हालांकि सरकार ने स्थानीय परियोजना प्रभावित आदिवासियों के लिए रोजगार की घोषणा की है, पर जंगल ही वहां के स्थानीय लोगों की पहचान हैं। यदि बिजली ही चाहिए तो सरकार सौर ऊर्जा उत्पादन परियोजनाएं भी लागू कर सकती थी। इसलिए यह सवाल पूछा जा रहा है कि जंगल को नष्ट करने और स्थानीय संस्कृति को खतरे में डालने की क्या जरूरत है?

वनों की कटाई से पहले वहां के आदिवासियों की 60 से 70 प्रतिशत आजीविका जंगल पर निर्भर थी। इस वन क्षेत्र में अधिक शैक्षणिक सुविधाएं नहीं हैं। यही वजह है कि स्थानीय लोगों के बीच शिक्षा का स्तर कम है, इसलिए सरकार रोजगार की गारंटी देती है, वहां इस अशिक्षित वर्ग को मौका नहीं मिलता। इसका मतलब यह है कि सरकार की कार्रवाई के कारण उन्हें उसी स्थान पर रहना होगा जहां वे अब तक मालिक के रूप में रह रहे थे। परिणामस्वरूप उनका अस्तित्व खतरे में है।

सवाल महज किसी एक उद्योगपति, किसी एक पार्टी या सरकार के खिलाफ नहीं है, बल्कि सवाल सत्ता की प्रकृति का है, जब भी सत्ता आती है तो वह अपनी मनमानी करती है।

“हमारा जंगल, हमारा गौरव है, हमारी संस्कृति है। हम एक दूसरे को जानते है। यही हमारे जीने का जरिया है।” सवाल है कि ऐसा कहने वाले आदिवासियों की सुने कौन?

মমতার বাড়ির উঠোনে: রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন করতে সায়রা শাহ হালিমের বিড

কলকাতা: সায়রা শাহ হালিম, দক্ষিণ কলকাতার জন্য সিপিআইএম-এর বাছাই করা, তার প্রার্থিতা সম্পর্কে ই-নিউজরুম-এর সাথে একচেটিয়াভাবে কথা বলেছেন, এই নির্বাচন কীভাবে তার জন্য আলাদা এবং কেন ভোটারদের অন্যদের চেয়ে সিপিএম (CPM) প্রার্থীকে বেছে নেওয়া উচিত। তিনি যখন কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রচার করতে যাচ্ছিলেন তখন আমরা তার সাথে কথোপকথনের কিছু অংশ।

ইনিউজরুম: বর্তমান লোকসভা নির্বাচনের জন্য 2022 সালের উপ-নির্বাচন আপনাকে কীভাবে প্রস্তুত করেছে?

সায়রা শাহ হালিম: 2022 সালের উপ-নির্বাচনটি একটি আকর্ষণীয় নির্বাচন ছিল, কারণ বর্তমান বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন। তাই, একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে- বালিগঞ্জ যা শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এবং আমি সত্যিই ভাল করেছি কারণ এটি ছিল আমার প্রথম নির্বাচনী লড়াই। আমি বিজেপি এবং কংগ্রেসকে ‘পরাজিত’ করেছি এবং জয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। কয়েকটি বুথে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটা না হলে আমি নিশ্চিত যে আমি জিততাম।

ইনিউজরুম: তাহলে বিগত নির্বাচন থেকে আপনি কী শিক্ষা নিয়েছেন?

সায়রা শাহ হালিম: দেখুন, এখন এটি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বলের খেলা। সেটি ছিল একটি আসনের জন্য এবং এবার তা সাতটি। এছাড়াও, এই এলাকাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান আসন, যেখানে তিনি জয়ী হয়ে আসছেন। এখন এই এলাকার বর্তমান সাংসদ মালা রায় আছেন। এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন কিন্তু একটি চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ড। কিন্তু, আমি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট সজ্জিত, এই বিবেচনায় যে বেশ কয়েকটি বিষয়কে মোকাবেলা করা প্রয়োজন যেমন ক্রমবর্ধমান অবৈধ নির্মাণ, নির্বাচনী এলাকায় জর্জরিত বিভিন্ন ভেক্টর-বাহিত রোগ, বায়ু সূচক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং বেকারত্বের কয়েকটি নাম।

ইনিউজরুম: জনগণ কেন আপনাকে ভোট দেবে তার পাঁচ পয়েন্ট?

সায়রা শাহ হালিম: তাদের এমন একজন শিক্ষিত, সৎ নেতাকে ভোট দেওয়া উচিত যিনি ভোটাধিকার বঞ্চিত, তরুণ, সংখ্যালঘু এবং ক্ষমতাহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি সমস্ত প্ল্যাটফর্মে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের খুব সোচ্চার সমালোচক হয়েছি – তা টেলিভিশন বিতর্ক হোক, মাটিতে হোক, সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদের সাইট হোক, আমি সবার অধিকার নিয়ে খুব সোচ্চার ছিলাম।

বাকি প্রার্থীরা, আমি তাদের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু.. এটা লক্ষ্য করা গেছে যে যখনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করতে হবে, তারা ওয়াকআউট করে। সিএএ পাশ হওয়ার সময় টিএমসি সাংসদরা ওয়াকআউট করেছিলেন। তাদের উপস্থিতি অস্বাভাবিক। সংসদ সদস্য হওয়ার প্রাথমিক শর্তও তারা পূরণ করছেন না। সুতরাং, আমার মতে, এই ধরনের প্রার্থীরা সম্পদের চেয়ে বেশি প্রতিবন্ধক।

তাই আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমি একজন সোচ্চার সংসদ সদস্য হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকার পাশে থাকব।

আমি মনে করি আমি আদর্শ প্রার্থী কারণ আমি শিক্ষিত, সৎ এবং সর্বোপরি দুর্নীতিবাজ এবং ফ্যাসিস্টদের একত্রিত করার মেরুদণ্ড রয়েছে।

কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম
কালীঘাটে রোড শো চলাকালীন সায়রা শাহ হালিম | ইনিউজরুম

 

ইনিউজরুম: আপনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন ‘বাহিরগাটা’ শব্দটি কীভাবে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন?

সায়রা শাহ হালিম: আমি ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু ও বাংলা চারটি ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারি। এ আসনের যুবকদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। যতদূর গণআন্দোলন বিবেচনা করা হয় আমি মূলে আছি। সুতরাং, আমি মনে করি আমার প্রার্থিতা সেই বিভাজনকারী শক্তির প্রতীক যা ‘অভ্যন্তরীণ’ এবং বহিরাগতদের বাইনারি তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমি কলকাতার মেয়ে। আমার জন্ম কলকাতায়, যখন আমার বাবা এখানে একজন তরুণ অধিনায়ক হিসেবে পদায়ন করেছিলেন। একজন সেনাসদস্যের মেয়ে হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়ে ওঠার সৌভাগ্য আমারও হয়েছে।

ইনিউজরুম: বাংলায় ভারতের জোট সবচেয়ে দুর্বল। আপনার মন্তব্য..

সায়রা শাহ হালিম: কংগ্রেস আমাকে সমর্থন করছে এবং বিভিন্ন বাম দলও সমর্থন করছে। কিন্তু জোটের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সত্যিই জানি না। তিনি শুরুতেই বলেছিলেন যে তিনি প্রতিটি আসনে তার প্রার্থী দেবেন। তবে হ্যাঁ, কংগ্রেস ও বামেরা সমঝোতায় এসেছে। কংগ্রেস কলকাতা দক্ষিণে প্রার্থী দেয়নি এবং বামরা কলকাতা উত্তরে প্রার্থী না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইনিউজরুম: আপনি কি মনে করেন এটা জাতীয় পর্যায়ে জোটে প্রভাব ফেলবে?

সায়রা শাহ হালিম: ভারতীয় স্তরে, আমাদের খুব বেশি বিকল্প নেই, আমাদের ফ্যাসিবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে যারা দেশকে বিভক্ত করার জন্য নরক নিযুক্ত। তাদের আবার আগের জায়গায় রাখতে হলে আমাদের জোট গঠন করা উচিত।

ইনিউজরুম: আপনি কি মনে করেন আপনার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আপনাকে কিছু উপায়ে সাহায্য করবে?

সায়রা শাহ হালিম: আমি যা আছি তার জন্য এখানে এসেছি, আমার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে নয়।

ইনিউজরুম: আপনি এই আসনের একজন ভোটার, আপনার এমপির মূল্যায়ন কেমন হবে?

সায়রা শাহ হালিম: আমি এ বিষয়ে জানি না, সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করা উচিত। তবে সাধারণ বার্তা হলো, তাকে নির্বাচনী এলাকায় খুব একটা দেখা যায় না, সংসদেও তিনি সোচ্চার নন।

ইনিউজরুম: 2022 এর বিপরীতে, যখন আপনি একটি টার্নকোটের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এইবার মালা রায় এবং দেবশ্রী চৌধুরী উভয়েরই বেশ ভাল ইমেজ রয়েছে। আপনি কিভাবে তাদের নিতে পরিকল্পনা?

সায়রা শাহ হালিম: গতবার আমি বিজেপিকে তাদের টাকায় রান দিয়েছিলাম। আমি তাদের তৃতীয় স্থানে নামিয়ে দিয়েছি। আমরা যদি বিভাজনকারী এবং দুর্নীতিবাজ শক্তিকে ধ্বংস করতে চাই তবে বিজেপি এবং টিএমসি উভয়কেই পরাজিত করতে হবে। এটি বামফ্রন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করা মানুষের পক্ষে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

ইনিউজরুম: ভোটারদের, বিশেষ করে তরুণদের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছেন?

সায়রা শাহ হালিম: অন্যান্য দলের মত নয়, আমরা ভোটারদের সাথে ব্যক্তিগত সংযোগ স্থাপন করতে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ঘরে ঘরে প্রচারণা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পায়ে হেঁটে প্রচারণা চালাচ্ছি।

তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা এআই এবং প্রযুক্তিও ব্যবহার করছি।

 

এটি ইংরেজিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অনুবাদ

In Mamata’s Backyard: Saira Shah Halim’s Bid to Shift the Political Landscape

Kolkata: Saira Shah Halim, CPI-M’s pick for South Kolkata, exclusively spoke to eNewsroom on her candidature, how this election is different for her and why voters should choose the CPM candidate over others. Excerpts from the conversation as we caught up with her when she was on her way to campaign in the areas adjoining the Kalighat temple.

eNewsroom: How has the 2022 by-poll prepared you for the present Lok Sabha election?

Saira Shah Halim: The 2022 by-poll was an interesting election, given that the incumbent MLA Subrata Mukherjee had passed away. So, the election was being held for a specific area- Ballygunge which is considered as the heart of the city. And I really did well as it was my first electoral foray. I ‘defeated’ the BJP, and the Congress and had come very close to winning. It has been alleged that some of the booths had been rigged. Had that not been the case, I am sure that I would have won.

eNewsroom: So what lessons have you learnt from the past election?

Saira Shah Halim: See, now this is a completely different ball game. That was for a single constituency and this time it’s seven. Also, this area is the main seat of Mamata Banerjee, where she has been winning. Now, we have Mala Roy, who is the present MP from this area. It’s a prestigious seat but a challenging terrain. But, I am quite equipped to face the challenges, considering that several issues need to be addressed like the mushrooming illegal construction, various vector-borne diseases plaguing the constituency, air index causing health issues and unemployment to name a few.

eNewsroom: Five points as to why people should vote for you?

Saira Shah Halim: They should vote for an educated, honest leader who has stood by the disenfranchised, the youth, the minority and the disempowered. I have been a very very vocal critic of the current fascist regime on all platforms – be it the television debates, be it on the ground, be it the CAA-NRC protest sites, I have been very vocal about everyone’s rights.

The rest of the candidates, I don’t want to comment on them. But.. It has been noticed that whenever an important bill is to be passed, they stage a walkout. The TMC MPs staged a walkout when CAA was being passed. Their attendance is abysmal. They are not even meeting the basic prerequisite to be a parliamentarian. So, in my opinion, such candidates are more of a deterrent than an asset.

So, if my constituency people decide to elect me, then I am going to be a vocal parliamentarian and will stand by my constituency.

I think I am the ideal candidate as I am educated, honest and above all have the spine to take on the corrupt and fascists, put together.

cpm candidate saira shah halim kolkata south lok sabha election
Saira Shah Halim during her roadshow in Kalighat | eNewsroom

eNewsroom: How do you plan to take on the term ‘bahirgata’ that can be used for you?

Saira Shah Halim: I can speak and write in four different languages – English, Hindi, Urdu and Bengali. I am very connected with the youths of this constituency. I am rooted as far as mass movements are considered. So, I think my candidature is very symbolic of the divisive forces who are trying to create a binary of ‘insider’ and outsider. I am a Kolkata girl. I was born in Kolkata when my father was posted here as a young captain. Being an army man’s daughter, I have also had the privilege to grow up in different parts of the country.

eNewsroom: The INDIA coalition is the weakest in Bengal. Your comment..

Saira Shah Halim: The Congress is supporting me and so are the various Left parties. But I really don’t know about Ms Mamata Banerjee’s commitment towards the coalition. She at the outset said that she would be putting her candidates in every seat. But yes, the Congress and the left have come to an understanding. The Congress has not fielded a candidate for Kolkata South and the Left chose not to have a candidate in Kolkata North.

eNewsroom: Do you think this will affect the coalition at the national level?

Saira Shah Halim: At the Indian level, we don’t have much of a choice, we have to fight the fascist communal forces that are hell-bent on dividing the country. We should form a coalition if we have to put them back into place.

eNewsroom: Do you think your family background is going to help you in certain ways?

Saira Shah Halim: I am here because of what I am and not because of my family background.

eNewsroom: You are a voter from this constituency, how would you rate your MP?

Saira Shah Halim: I don’t know about that, you should ask the general public. But the general message is that she is not seen much in the constituency nor is she vocal in the Parliament.

eNewsroom: Unlike in 2022, when you were pitted against a turncoat, this time both the opponents Mala Roy and Debasree Chaudhuri have a pretty good image. How do you plan to take them on?

Saira Shah Halim: Last time I gave the BJP a run for their money. I relegated them to the third spot. BJP and TMC both need to be defeated if we want divisive and corrupt forces to be decimated. This makes it even more important for people to support the Left Front candidate.

eNewsroom: How do you plan to connect with the voters, especially the youth?

Saira Shah Halim: Unlike other parties, we have chosen to begin our door-to-door campaign pretty early so that we can make a personal connection with the voters. We are campaigning on foot.

We are also using AI and technology to reach out to young voters.

নির্বাচনী বন্ড স্কিম: একটি অনন্য কেলেঙ্কারির গল্প

2017 সালে, বিজেপি সরকার সমস্ত বিরোধী দলগুলির বিরোধিতা এবং নির্বাচন কমিশন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, রাজ্যসভাকে বাইপাস করে আর্থিক বিলের মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ডের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল, যা ছিল দুর্নীতিকে বৈধ করার একটি অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা। ‘কুইড প্রো কো’ (দুর্নীতির লেনদেনের) ভয়, যা সুপ্রিম কোর্ট ফেব্রুয়ারিতে এই স্কিমটিকে অবৈধ ঘোষণা করার সময় নির্দেশ করেছিল, সমস্ত পরিসংখ্যান বেরিয়ে আসার পরে 100 শতাংশ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এই পরিসংখ্যানগুলি বেরিয়ে আসার সাথে সাথে এটিও পরিষ্কার হয়ে গেছে যে কেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এটিকে প্রকাশ করার জন্য এত যত্ন নিচ্ছে। প্রথমত, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য হস্তান্তরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত তারিখ লঙ্ঘন করে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন।অর্থাৎ নির্বাচন শেষ হলে এবং নতুন সরকার গঠনের পরই তথ্য প্রকাশ্যে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালত যখন ভর্ৎসনা করে বলেন, ১৪ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে তথ্য দিতে হবে, অন্যথায় আদালত অবমাননার মামলা হবে, তখন ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনে তথ্য হস্তান্তর করে নিশ্চিত করা হয় যে। কোন দল কাকে নির্বাচনী বন্ড দিয়েছে।এটা জানা উচিত নয়।পদ্ধতিটি ক্রয় করা এবং খালাস করা বন্ডগুলিতে মুদ্রিত আলফানিউমেরিক কোডগুলি প্রকাশ করা হয়নি। অর্থাৎ ওই তালিকা থেকে আপনি জানতেই পারেননি যে, কোম্পানি ‘A’-এর কেনা কোটি টাকার বন্ডের মধ্যে কতজন ‘A’ পার্টিতে গেল, কতটি ‘B’, ‘C’ ইত্যাদি।

তা সত্ত্বেও, যারা বন্ড কিনেছিলেন তাদের তালিকা থেকে এটি পরিষ্কার ছিল যে তাদের মধ্যে অনেকগুলি শেল সংস্থাগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, অর্থাৎ এমন সংস্থাগুলি যাদের অস্তিত্ব কেবল কাগজে কলমে রয়েছে এবং যেগুলি কেবল অর্থ ঘুরানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এটাও স্পষ্ট হয়ে গেল যে এই কোম্পানিগুলির অনেকগুলি তাদের মোট আয়ের কয়েকগুণ মূল্যের বন্ড কিনেছে (আগে অনুদানের উচ্চ সীমা, মোট লাভের সাড়ে সাত শতাংশ, নির্বাচনী বন্ড স্কিম দ্বারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে)।একটি কোম্পানি কেন এটি করে তা বোঝা কঠিন নয়। হয় এটি একটি ভুয়া কোম্পানি এবং শুধুমাত্র অন্যের অর্থ পাল্টানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে, নতুবা সেই সংস্থাটি লাভের বাস্তবতা অর্থাৎ বর্তমান নয় বরং লাভের সম্ভাবনা অর্থাৎ ভবিষ্যত এবং নির্বাচনী বন্ড তার বিনিয়োগ।

এই প্রথম এবং দ্বিতীয় পয়েন্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে এটা দুর্নীতিকে বৈধ করার একটা মাধ্যম।তৃতীয় যে বিষয়টিও একই সময়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে তা হল যে সমস্ত সংস্থাগুলি নির্বাচনী বন্ডে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছিল, তাদের মধ্যে এমন অনেক সংস্থা ছিল যেগুলির বিরুদ্ধে আয়কর বা ইডি অ্যাকশন চলছিল এবং বলা বাহুল্য যে এইগুলি ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কাজ করা বিভাগ। হ্যাঁ, জনসমক্ষে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে, এই ধরনের সংস্থাগুলির নির্বাচনী বন্ড কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপির কাছে গেছে কিনা তা দাবি করা কঠিন ছিল।

জনসাধারণের তৈরি করা ডেটা থেকে এটি প্রমাণ করতে না পারার কারণেই SBI আলফানিউমেরিক কোডগুলি প্রকাশ করেনি এবং সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে এত তাড়াতাড়ি সমস্ত গণনা করার ক্ষমতা তার মধ্যে নেই। সুপ্রিম কোর্ট জানত যে এই কম্পিউটারাইজড যুগে এটি একটি বিশুদ্ধ অজুহাত, তাই 21 মার্চ বিকাল 5টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিল যে আপনার কাছে সমস্ত তথ্য দিতে হবে, আপনি এটির একটিও আটকাতে পারবেন না। সমস্ত তথ্য মানে সমস্ত তথ্য।

আশ্চর্যজনক বিষয় হল SBI, যার 30 শে জুনের আগে কিছু দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না, 21 শে মার্চ, অর্থাৎ তার ক্ষমতা অনুযায়ী প্রত্যাশিত তারিখের 100 দিন আগে সমস্ত সরবরাহ করেছিল। এসবিআইকে কি জিজ্ঞাসা করা উচিত নয় যে এটি যদি দিতে পারত, তবে কেন দেওয়ার জন্য জেদ করছিল? সেই ব্যক্তি কে ছিল যে আপনার বাহু মোচড় দিয়েছিল এবং আপনি তখনই মান্য করেছিলেন যখন অন্য কেউ আপনাকে আরও মোচড় দিয়েছিল? কে তোমাকে সতর্ক করতে বলেছিল যে তুমি আমাদের বাস্তবতা প্রকাশ করতে দিয়েছ?

যে ব্যক্তি এসবিআই-এর বাহু মোচড় দিয়েছিল, সেই ব্যক্তিই এফআইসিসিআই এবং অ্যাসোচেম-এর কাছে আদালতে আবেদন পাঠাচ্ছিলেন যে মহামান্য, কোন কোম্পানি কাকে দিয়েছে এই গোপনীয়তা প্রকাশ করা উচিত নয়, কারণ এটি ব্যবসার স্বার্থে নয়।

যদিও, সুপ্রিম কোর্টের কঠোর অবস্থানকে নরম করার জন্য সমস্ত উপায় অবলম্বন করা হয়েছিল, যা সম্ভবত এই ‘কার’ জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু অবস্থান কঠোর ছিল এবং অবশেষে পরিসংখ্যান বেরিয়ে আসে। এবং যখন তারা পৌঁছেছে, জল্পনা বাস্তবে পরিণত হয়েছে।বাস্তবতা হল নির্বাচনী বন্ডের এই অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে বিজেপি কেবলমাত্র সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী নয় (এটি ইতিমধ্যেই জানা ছিল যে এপ্রিল 2019 থেকে, প্রায় 50 শতাংশ পরিমাণ একা তার অ্যাকাউন্টে চলে গেছে, আগে আরও বেশি চলে গেছে), তিনিও সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সুবিধাভোগী, যিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার সহায়তা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এমন পুনরুদ্ধার করেছেন, যা এই অস্বচ্ছ ব্যবস্থা ছাড়া সম্ভব হতো না।মানি লন্ডারিং ও ট্যাক্স ফাঁকির মতো মামলায় যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয় তাদের কাছ থেকে এসব বেনামী অনুদান নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বন্ধ করা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে চাঁদাবাজির এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

“২০২২ সালের মার্চ মাসে, সংসদকে জানানো হয়েছিল যে মোদী সরকারের অধীনে ‘সন্দেহবাদীদের’ বিরুদ্ধে অভিযান ও তল্লাশি ২৭ গুণ বেড়েছে। 3010 টি এই ধরনের পদক্ষেপ ইডি দ্বারা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র 888 টিতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল এবং শুধুমাত্র 23 জন অভিযুক্তকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল। নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের আলোকে এই তিনটি পর্যায়ের ব্যবধান আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। “এই সরকার প্রমাণ করেছে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার – নরেন্দ্র মোদীর দাবির সম্পূর্ণ বিপরীত ‘আমি খাব না, দেব না’।” (বৃন্দা কারাত, ‘হু পেস কে জিতেছে’, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২৩ মার্চ ২০২৪)।

ডেটা বিশ্লেষকরা এমন অনেক ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, 2018 সালের সেপ্টেম্বরে, হরিয়ানা পুলিশ গুরুগ্রামে একটি জমির চুক্তিতে দুর্নীতি এবং জালিয়াতির জন্য রবার্ট ভাদ্রা এবং ডিএলএফ গ্রুপের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল। 2019 সালের জানুয়ারিতে, CBI অন্য একটি ক্ষেত্রে DLF-এর অফিসে তল্লাশি চালায়।অক্টোবর 2019 এবং নভেম্বর 2022 এর মধ্যে, তিনটি DLF গ্রুপ কোম্পানি মোট 170 কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড ক্রয় করেছে এবং একমাত্র সুবিধাভোগী ছিল বিজেপি, DLF গ্রুপ অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে কোনো অনুদান দেয়নি। আশ্চর্যজনকভাবে, 2023 সালের এপ্রিলে, হরিয়ানার বিজেপি সরকার আদালতকে বলেছিল যে তারা ভাদ্রা এবং ডিএলএফ-এর মধ্যে জমির চুক্তিতে কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়নি। মামলাটি বাতিল করা হয়।

একটি আকর্ষণীয় উদাহরণ হল অরবিন্দ ফার্মার। হায়দরাবাদ-ভিত্তিক এই সংস্থাটি দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় অভিযুক্ত। 2022 সালের নভেম্বরে, এর পরিচালক পি শরথচন্দ্র রেড্ডিকে ইডি গ্রেপ্তার করেছিল, যার পাঁচ দিন পরে সংস্থাটি বিজেপিকে 5 কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড দেয়।মিঃ রেড্ডির মামলা যখন হাইকোর্টে আসে, তখন ইডি তার জামিনের বিরোধিতা করেনি এবং অসুস্থতার কারণে 2023 সালের মে মাসে তিনি জামিন পেয়েছিলেন। 2023 সালের জুনে, শরৎ রেড্ডি এই মামলায় একজন সরকারী সাক্ষী হন এবং দুই মাস পরে, সংস্থাটি বিজেপিকে আরও 25 কোটি টাকা অনুদান দেয়।

মনে রাখবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাক্ষী ছাড়া যারা এই মামলায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অন্য কোনো প্রমাণ নেই বলে জানা গেছে। এই মামলায় মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের শুনানির সময়, আদালত স্পষ্টভাবে ইডিকে বলেছিল যে এই মামলাটি খুব দুর্বল এবং নিমিষেই উড়িয়ে দেবে; কথিত ঘুষের টাকা কোন হাতে গেছে তার কোনো প্রমাণ নেই। এ কথা বলার পরও তিনি জামিন দেননি, এটা ভিন্ন বিষয়। এই বিষয়টি দেখলে প্রথমেই কৌতূহল জাগে যে অরবিন্দ ফার্মা যদি সত্যিই আম আদমি পার্টিকে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে থাকে, তাহলে এই কাজটি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে করা হল না কেন? এই স্কিম চালু হওয়ার পর কেন এত নিরাপদ রুটের পরিবর্তে অন্য কোনও পথ দিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে টাকা পাঠানো হবে? তবে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখনও হেফাজতে রয়েছেন এবং দেশে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। সবকিছুর আলগা প্রান্তগুলিকে সংযুক্ত করে, একটি খুব ভীতিকর চিত্র ফুটে উঠেছে, যা এই নিবন্ধটি এখনই সেদিকে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি একটি বিভ্রান্তি হবে।তবে অন্তত বিষয়টির পরিধির মধ্যে রয়েছে যে আম আদমি পার্টির নেতাদের যদি টাকা নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ধরা যায়, তবে বিজেপি নেতাদের কেন নয়, যখন এটি প্রমাণিত হয়েছে যে তারা একই অর্থ পাচারের অভিযুক্তকে মুক্তি দিতে হবে। হেফাজত থেকে, তিনি প্রথমে 5 কোটি টাকা এবং তারপর 25 কোটি রুপি নেন এবং তাকে সরকারী সাক্ষী হতে রাজি করান।

25 শে মার্চ, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস 26 টি কোম্পানির বিশদ প্রকাশ করেছে যেগুলি নির্বাচনী বন্ড কিনছে যা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির স্ক্যানারের আওতায় এসেছে৷ এর মধ্যে ১৬টি কোম্পানি এজেন্সির স্ক্যানারে আসার পর বন্ড ক্রয় করেছে এবং বাকি ৬টি কোম্পানি এজেন্সির স্ক্যানারের আওতায় আসার পর নির্বাচনী বন্ড ক্রয় করেছে। আপনি যদি এক্সপ্রেসের বিশ্লেষণটি পড়েন তবে আপনি জানতে পারবেন যে এই সংস্থাগুলির বন্ডগুলি কেবল বিজেপিই খালাস করেনি। রাজ্য সরকারগুলির দলগুলিও এর থেকে লাভবান হয়েছে। কিন্তু বিজেপি তার সবচেয়ে বেশি ভাগ পেয়েছে, ৩৭.৩৪ শতাংশ। এর অর্থ হল সবচেয়ে বড় অংশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্রোধ এড়াতে এবং বাকিটা রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের কাজ করার জন্য ব্যয় করা হয়েছিল।

এই সমস্ত তথ্য একটি জিনিস চিৎকার করে: নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি এই দেশের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি এবং যে সরকার এটি চালু করেছে সেটি স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। এদেশের কমিউনিস্টরা প্রথম থেকেই এটি কেবল বুঝতে পারেনি, বরং এটির বিরুদ্ধে লড়াই করার নৈতিক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাচনী বন্ড (তারা যেভাবেই হোক কর্পোরেট হাউস থেকে অনুদান নেয় না) নিতে অস্বীকার করেছিল। সেই কারণে সিপিআই(এম) এই স্কিমের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনকারী হতে পেরেছিল। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির পরিহাস হল যে তারা এর বিরোধিতা করে চলেছে এবং তাদের প্লেটে যা কিছু টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো করে নেওয়ার লোভ প্রতিরোধ করতে পারেনি। কিন্তু এটি একাই সবাইকে এক-আকার-ফিট-অল করে না। সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের পরে, বিজেপি অবশ্যই সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দলের খেতাব পাবে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মূলধারার মিডিয়া এখনও এই শিরোনাম হস্তান্তর করার জন্য অন্য দলগুলিকে খুঁজছে।

খবরের কাগজ ও নিউজ পোর্টাল ছাড়া আর কোথাও বিজেপির উন্মোচিত মুখ দেখতে পাচ্ছেন?

এটি লেখকের মতামত।

এটি হিন্দিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অনুবাদ

चुनावी बॉन्ड स्कीम: एक अद्वितीय घोटाला-कथा

0

[dropcap]भा[/dropcap]जपा सरकार ने 2017 में तमाम विपक्षी दलों के विरोध और चुनाव आयोग तथा रिज़र्व बैंक की मनाही के बावजूद फाइनैन्स बिल के रास्ते यानी राज्यसभा से कन्नी काटकर चुनावी बॉन्ड की जो योजना लागू की, वह भ्रष्टाचार को विधिसम्मत बना देने की एक अभूतपूर्व क़वायद थी। सर्वोच्च न्यायालय ने अभी फरवरी महीने में इस स्कीम को ग़ैर-क़ानूनी क़रार देते हुए ‘क्विड प्रो क्वो’ (भ्रष्ट लेन-देन) की जिस आशंका पर उंगली रखी थी, वह सारे आंकड़े सामने आने के बाद सौ फ़ीसद सही साबित हुई।

इन आंकड़ों के सामने आने से यह भी स्पष्ट हो गया कि स्टेट बैंक ऑफ़ इंडिया इसे सार्वजनिक करने में इतना हील-हवाला क्यों कर रहा था। पहले उसने सर्वोच्च न्यायालय द्वारा आंकड़ों को चुनाव आयोग को सौंपने के लिए निर्धारित की गयी तिथि का उल्लंघन करते हुए 30 जून तक का समय मांगा। यानी पूरी कोशिश थी कि चुनाव संपन्न हो जायें, नयी सरकार बन जाये, तभी जानकारी सार्वजनिक की जाये। जब अदालत ने फटकार लगायी और कहा कि 14 मार्च की शाम 5 बजे तक आंकड़े देने ही होंगे वरना अदालत की अवमानना का मामला बनेगा, तो 14 मार्च को चुनाव आयोग को आंकड़े सौंपते हुए यह सुनिश्चित किया गया कि किस समूह ने किसे चुनावी बांड्स दिये, यह पता न चले। इसका तरीक़ा था ख़रीदे गये और भुनाये गये बांड्स पर अंकित अल्फ़ान्यूमेरिक कोड की जानकारी न देना। यानी आप उस फ़ेहरिस्त से यह पता नहीं कर सकते थे कि ‘अ’ कंपनी ने जो करोड़ों के बांड्स ख़रीदे, उनमें से कितने ‘क’ पार्टी को गये, कितने ‘ख’, ‘ग’ इत्यादि को।

इसके बावजूद यह बात तो बांड्स ख़रीदने वालों की सूची से ज़ाहिर हो ही गयी थी कि इनमें कई शेल कंपनियां यानी ऐसी कंपनियां शामिल थीं, जिनका वजूद सिर्फ़ काग़ज़ पर है और जो पैसे को इधर-उधर करने के मक़सद से ही बनायी जाती हैं। दूसरे, यह भी स्पष्ट हो गया था कि इनमें से कई कंपनियों ने अपनी कुल आमदनी से कई गुना ज़्यादा के बांड्स ख़रीदे (चंदे के मामले में पहले जो ऊपरली सीमा थी, कुल मुनाफे का साढ़े सात फ़ीसद, उसे चुनावी बॉन्ड की स्कीम ने ख़त्म कर दिया था)। कोई कंपनी ऐसा क्यों करती है, इसे समझना मुश्किल नहीं है। या तो वह फ़र्ज़ी कंपनी है और किसी और के पैसे को इधर मोड़ने के लिए ही उसे बनाया गया है, या फिर वह कंपनी मुनाफ़े की हक़ीक़त यानी वर्तमान को नहीं, मुनाफ़े की संभावना यानी भविष्य को ध्यान में रख रही है और चुनावी बांड उसका निवेश है।

इस पहले और दूसरे नुक़ते से यह तो साफ़ हो ही गया था कि यह भ्रष्टाचार को विधिसम्मत बनाने का ज़रिया था। जो तीसरी बात भी उसी समय स्पष्ट हो गयी, वह यह कि जिन कंपनियों ने चुनावी बॉन्ड में बहुत सारा पैसा लगाया, उनमें ऐसी कंपनियां बहुतायत से थीं, जिन पर इनकम टैक्स या ईडी की कार्रवाई चल रही थी, और बताने की ज़रूरत नहीं कि ये केंद्र सरकार के अधीन काम करनेवाले महकमे हैं। हां, सार्वजनिक किये गये आंकड़ों के आधार पर यह दावा करना मुश्किल था कि ऐसी कंपनियों के चुनावी बांड केंद्र की सत्ता पर क़ाबिज़ भाजपा को ही गये या नहीं।

सार्वजनिक किये गये आंकड़ों से यह बात साबित न हो पाना ही वह प्रयोजन था, जिसके लिए एसबीआई ने अल्फ़ान्यूमेरिक कोड नहीं बताये और सर्वोच्च न्यायालय से कहा कि सारा हिसाब-किताब इतनी जल्दी करना उसके बस की बात नहीं है। सर्वोच्च न्यायालय को पता था कि इस कंप्यूटरीकृत दौर में यह शुद्ध बहाना है, इसलिए उसने 21 मार्च की शाम 5 बजे तक का समय दिया कि आपके पास जो भी जानकारियां हैं, वे सब आपको देनी होंगी, उनमें से कुछ भी आप रोक नहीं सकते। सारी जानकारी का मतलब है, सारी जानकारी।

कमाल की बात है कि एसबीआई, जो 30 जून से पहले कुछ भी मुहैया कराने की क्षमता नहीं रखती थी, उसने 21 मार्च को, यानी अपनी क्षमता के अनुसार अनुमानित तिथि से 100 दिन पहले वह सब मुहैया करा दिया। क्या एसबीआई से पूछा नहीं जाना चाहिए कि भैया, दे सकते थे, तो देने में हील-हवाला क्यों कर रहे थे? वह कौन था, जिसने तुम्हारी बांहें मरोड़ रखी थीं और तुम माने तभी, जब किसी और ने उससे ज़्यादा मरोड़ दीं? कौन कह रहा था तुमसे कि ख़बरदार जो हमारी असलियत सामने आने दी!

जो एसबीआई की बांह मरोड़ रहा था, वही फिक्की और ऐसोचैम को भी अदालत में अपनी याचिका लेकर भेज रहा था कि योर ऑनर, किस कंपनी ने किसको दिया, यह भेद नहीं खुलना चाहिए, क्योंकि यह व्यापारिक घरानों के हित में नहीं है।

ग़रज़ कि सर्वोच्च न्यायालय के कड़े रुख को, जो शायद इस ‘कौन’ के लिए अप्रत्याशित था, मुलायम बनाने के सारे तरीक़े अपना लिये गये। लेकिन रुख की कड़ाई बनी रही और आख़िरकार आंकड़े सामने आये। और जब आये, तो अनुमान हक़ीक़त में बदल गये। हक़ीक़त यह है कि चुनावी बॉन्ड की इस अपारदर्शी व्यवस्था में भाजपा सबसे बड़ी लाभार्थी ही नहीं है (वह तो पहले से ही पता था कि अप्रैल 2019 के बाद से लगभग 50 फ़ीसद राशि अकेले उसके खाते में गयी है, पहले और ज़्यादा गयी थी), सबसे भ्रष्ट लाभार्थी भी है, जिसने केंद्रीय एजेंसियों का सहारा लेकर व्यापारिक घरानों से ऐसी वसूली की है, जो इस अपारदर्शी व्यवस्था के बगैर संभव नहीं थी। मनी लौंडरिंग, टैक्स चोरी जैसे मामलों को लेकर जिन व्यापारिक घरानों पर छापे पड़े, उनसे यह बेनामी चंदा लेकर उन पर कार्रवाई रोक दी गयी। ग़रज़ कि केंद्रीय एजेंसियों को हफ़्ता वसूली के एजेंट की तरह इस्तेमाल किया गया।

“मार्च 2022 में संसद को सूचित किया गया कि मोदी सरकार में ‘संदिग्धों’ पर छापे और तलाशी की कार्रवाई 27 गुना बढ़ी हैं। ईडी के द्वारा ऐसी 3010 कार्रवाइयां हुईं, लेकिन चार्जशीट उनमें से सिर्फ़ 888 मामलों में दायर हुई और महज 23 अभियुक्तों को अदालत ने दोषी पाया। इन तीन चरणों के बीच के अंतराल को चुनावी बॉन्ड के आंकड़ों की रौशनी में बेहतर समझा जा सकता है। यह सरकार सबसे भ्रष्ट सरकार साबित हुई है — नरेंद्र मोदी के ‘न खाउंगा न खाने दूंगा’ के दावे के एकदम विपरीत”। (वृंदा करात, ‘हू पेज़ हू विंस’, इंडियन एक्सप्रेस, 23 मार्च 2024)।

आंकड़ों का विश्लेषण करनेवालों ने ऐसे कई मामले ढूंढ निकाले हैं। मसलन, सितम्बर 2018 में हरियाणा पुलिस ने रॉबर्ट वाड्रा और डीएलएफ़ समूह पर गुरुग्राम में ज़मीन के सौदे में भ्रष्टाचार और धोखाधड़ी का मामला दर्ज किया। जनवरी 2019 में सीबीआई ने एक और मामले में डीएलएफ़ के दफ़्तरों की तलाशी ली। अक्टूबर 2019 से नवम्बर 2022 के बीच डीएलएफ़ समूह की तीन कंपनियों ने कुल 170 करोड़ के चुनावी बॉन्ड ख़रीदे और लाभार्थी अकेले भाजपा रही, डीएलएफ़ समूह ने और किसी राजनीतिक दल को कोई चंदा नहीं दिया। आश्चर्यजनक तरीक़े से अप्रैल 2023 में हरियाणा की भाजपा सरकार ने अदालत में कहा कि वाड्रा और डीएलएफ़ के ज़मीन सौदे में उसे किसी तरह की अनियमितता नहीं मिली है। मामला रद्द हो गया।

एक दिलचस्प उदाहरण अरविंदो फार्मा का है। हैदराबाद स्थित यह कंपनी दिल्ली आबकारी नीति मामले में अभियुक्त है। नवम्बर 2022 में इसके निदेशक पी शरतचंद्र रेड्डी को ईडी द्वारा गिरफ़्तार किया गया, जिसके पांच दिन बाद ही कंपनी ने भाजपा को 5 करोड़ के चुनावी बॉन्ड दिये। जब श्री रेड्डी का मामला उच्च न्यायालय के सामने आया, तो ईडी ने उनकी ज़मानत का विरोध नहीं किया और मई 2023 में ख़राब सेहत के आधार पर उन्हें ज़मानत मिल गयी। जून 2023 में शरत रेड्डी इस मामले में सरकारी गवाह बन गये और उसके दो महीने बाद कंपनी ने भाजपा को 25 करोड़ का चंदा और दिया।

याद रखें कि दिल्ली आबकारी नीति मामले में ही दिल्ली के मुख्यमंत्री अरविन्द केजरीवाल की भी गिरफ़्तारी हुई है। बताया जाता है कि इस मामले में जो लोग अंदर हैं, उनके ख़िलाफ़—सिवाय गवाह के—पैसे की लेन-देन का कोई और सबूत मौजूद नहीं है। अदालत ने इस मामले में मनीष सिसोदिया की ज़मानत की सुनवाई करते हुए ईडी से साफ़ कहा था कि यह मामला बहुत कमज़ोर है और चुटकियों में उड़ जायेगा; इसमें कथित रिश्वत की राशि किन-किन हाथों से गुज़री, इसका कोई सबूत नहीं है। इतना कहने के बावजूद उन्होंने ज़मानत नहीं दी, यह अलग बात है। इस मामले को देखते हुए सबसे पहली जिज्ञासा तो यही होती है कि अगर सचमुच अरविंदो फार्मा ने आम आदमी पार्टी को 100 करोड़ रुपये दिये, तो यह काम इलेक्टोरल बॉन्ड के ज़रिये क्यों नहीं किया गया? इस स्कीम के आने के बाद इतना सुरक्षित रास्ता छोड़कर पैसा किसी और रास्ते से किसी राजनीतिक दल तक क्यों पहुंचाया जायेगा? बहरहाल, अरविन्द केजरीवाल अभी हिरासत में हैं और देश में आम चुनावों की घोषणा हो चुकी है। सभी चीज़ों के छूटे सिरों को जोड़ने पर बड़ी भयावह तस्वीर उभरती दिखती है, जिसकी दिशा में इस लेख को फ़िलहाल नहीं जाना चाहिए, क्योंकि वह विषयांतर होगा। लेकिन कम-से-कम इतना तो विषय के दायरे में ही है कि अगर आम आदमी पार्टी के नेताओं को पैसा लेकर पक्षपात करने के आरोप में पकड़ा जा सकता है, तो भाजपा के नेताओं को क्यों नहीं, जब यह साबित हो चुका है कि उन्होंने उसी मनी लौंडरिंग के आरोपी को हिरासत से रिहा करने के लिए पहले 5 करोड़ और फिर 25 करोड़ लिये और सरकारी गवाह बनने के लिए भी राज़ी किया।

25 मार्च को इंडियन एक्सप्रेस ने चुनावी बॉन्ड ख़रीदनेवाली ऐसी 26 कंपनियों के विवरण प्रकाशित किये हैं, जो केंद्रीय एजेंसियों की जांच के दायरे में आये। इनमें से 16 कंपनियों ने एजेंसियों की जांच के दायरे में आने के बाद बॉन्ड ख़रीदे और दूसरी 6 कंपनियों ने जांच के दायरे में आने के बाद चुनावी बॉन्ड की ख़रीद बढ़ा दी। आप एक्सप्रेस का विश्लेषण पढ़ें, तो पता चलेगा कि इन कंपनियों के बॉन्ड सिर्फ़ भाजपा ने नहीं भुनाये हैं। राज्य सरकारों में जो दल हैं, उन्हें भी इनका लाभ मिला है। लेकिन भाजपा के पास इसका सबसे बड़ा हिस्सा, 37.34 फ़ीसद गया है। इसका मतलब यह कि सबसे बड़ा हिस्सा केन्द्रीय जांच एजेंसियों के कोप से बचने के लिए ख़र्च किया गया और शेष राज्य सरकारों से अपने काम निकलने के लिए।

ये सारे तथ्य चीख-चीखकर एक ही बात कह रहे हैं: चुनावी बॉन्ड स्कीम इस देश का अभी तक का सबसे बड़ा घोटाला है और उसे लानेवाली सरकार आज़ाद भारत की सबसे भ्रष्ट सरकार है। इस बात को इस देश के कम्युनिस्टों ने शुरुआत में ही न सिर्फ़ समझा, बल्कि इससे लड़ने का नैतिक अधिकार बनाये रखने के लिए चुनावी बॉन्ड लेने से इंकार भी किया (वे वैसे भी कॉर्पोरेट घरानों का चंदा नहीं लेते)। इसीलिए सीपीआई (एम) इस स्कीम के ख़िलाफ़ सर्वोच्च न्यायालय में याचिकाकर्त्ता भी बन पायी। अन्य राजनीतिक दलों की विडंबना यह है कि वे इसका विरोध भी करते रहे और जो कुछ टुकड़े अपनी थाली में आने थे, उसे लेने का लोभ भी संवरण नहीं कर पाये। लेकिन सिर्फ़ इतने से ही सब एक ही थैली के चट्टे-बट्टे नहीं हो जाते हैं। पूरे आंकड़ोद्घाटन के बाद भाजपा को भ्रष्टतम पार्टी का खिताब तो मिलना ही चाहिए। यह दुर्भाग्यपूर्ण है कि मुख्यधारा की मीडिया यह खिताब सौंपने के लिए अभी भी दूसरी पार्टियों की तलाश में मुब्तिला है।

क्या भाजपा का बेनक़ाब चेहरा गिनती के अख़बार और न्यूज़ पोर्टल्स को छोड़कर आपको कहीं नज़र आ रहा है?

 

ये लेखक की राय है।

INDIA bloc’s Challenger: Vinod Singh’s Bid to Upend BJP Dominance in Koderma

Ranchi: The Koderma Lok Sabha seat will be one of the most high-profile contests in Jharkhand as it is going to be between the INDIA bloc candidate, a legislator who has been honored with the outstanding MLA award, and a state minister in the NDA government.

After much anticipation, CPIML has announced the nomination of Vinod Singh from Koderma on behalf of the INDIA bloc. The three-time MLA from Bagodar will face Annapurna Devi of the Bharatiya Janata Party. Annapurna Devi is a Minister of State in the Modi cabinet.

There are five assembly constituencies in the Koderma parliamentary constituency – Bagodar, Gandey, Jamua, Dhanwar, and Koderma. Except for Koderma, all four assembly constituencies fall under Giridih district.

Since the Koderma Lok Sabha elections started in 1977, elections have been held 13 times, and the BJP has won this seat a maximum of six times. If we include the victory of Ritlal Prasad Verma as a Janata Party candidate and Babulal Marandi (who has returned to BJP) once as an independent and once from JVM, then in Koderma, BJP or its associated people have won nine times or represented the area in the parliament.

Mahendra Singh, before getting assassinated, was a legislator from Bagodar three times, and now the same is with Vinod Singh. With this candidature, the work done so far in Bagodar will also be discussed, and the development done by the BJP in the Koderma Lok Sabha constituency will be an issue.

There will also be talk about the work of Annapurna Devi, who got the post of minister, and also about the work done by Vinod Singh. Annapurna Devi was earlier in the Rashtriya Janata Dal (RJD) and became an MLA from Lalu Prasad Yadav’s party, but just ahead of 2019 Lok Sabha elections, she left RJD and joined BJP.

Vinod Singh, 48, studied post-graduation at Banaras Hindu University (BHU) and came into politics after the murder of Mahendra Singh. In 2022, he was honored with the Outstanding MLA of Jharkhand award. This year, when Hemant Soren had to resign due to the ED arrest, thereafter, CPIML legislator played an important role in the formation of Champai Soren’s government and had met the Governor several times along with the alliance leaders.

“First of all, I want to thank all the parties of the INDIA Alliance. And I want to tell the people of Koderma, along with the important works of development, whether it’s representing any section of society, migrant labourers, or raising the issues of Dalits, tribals, minorities, and women, CPIML has raised their voice from the streets to inside the assembly. Victory in Koderma will further strengthen this voice inside Parliament,” Vinod Singh told eNewsroom.

“The second most important thing: this time the fight in Koderma is not with any BJP candidate or India Bloc; this time it is BJP versus Koderma’s people. The BJP will have to give answer of its 30 years of work to the public. Why is Koderma still among the most backward areas of the country? Neither the health sector nor the education sector has improved,” Vinod Singh questioned.

He added, “Many big names have become MPs from Koderma; among them, I am the least important person, but I can say that I will never compromise on public issues and will work for the people of Koderma. I will strive to become a strong voice for the people of Koderma in Parliament.”